০১। |
অবস্থান ও আয়তনঃ |
|
টাংগাইল জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে মির্জাপুর অন্যতম একটি উপজেলা। ০৭/১১/১৯৮২ সালে বাংলাদেশের প্রথম মান উন্নীত থানা হিসেবে তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান এটি উদ্বোধন করেন। পৃথিবীর মানচিত্রে মির্জাপুর উপজেলার অবস্থান ২৪০০১র্ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৪০১২র্ উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৯০৫৮র্ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯০০১৪র্ পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে। উত্তরে টাংগাইল জেলার বাসাইল ও সখিপুর উপজেলা , পূর্বে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলা, দক্ষিণে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলা এবং পশ্চিমে টাংগাইল জেলার দেলদুয়ার ও নাগরপুর উপজেলা অবস্থিত। মির্জাপুর উপজেলার মোট আয়তন ৩৭৩.৮৮ বর্গকিলোমিটার। |
০২। |
ভূ-প্রকৃতিঃ |
|
উপজেলার উত্তর- পূর্ব দিকের কিছু অংশ বাদে বাকী অংশ প্লাবন সমভূমি অঞ্চল। উত্তর- পূর্ব অংশটি প্লাইস্টোসিন যুগের ভাওয়াল মধুপুর ট্র্যাকের অংশ বিশেষ। স্থানীয় ভাবে এ অংশকে ‘‘পাহাড়’’ বলা হয়। সমভূমি বিধৌত নদীগুলো হচ্ছে বংশাই, খাগজানা ও লৌহজং। এ ছাড়া অসংখ্য খাল- বিলও রয়েছে। ছোট-খাট মিলে মোট পুকুর২০৪৩টি আবাদী পুকুর ১৩৫৮টি। মোট বনভূমির পরিমাণ ১১,৮৩২ একর। |
০৩। |
মির্জাপুর উপজেলার সাধারণ তথ্যাবলীঃ |
|
মির্জাপুর উপজেলা হানাদার মুক্ত হওয়ার তারিখ- ১৩/১২/১৯৭১ খ্রি. মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা- ৮৪০ জন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা- ৩৩ জন।
|
০৪। |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্তঃ |
|
১. সরকারী কলেজ- ০১ টি ( মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ )। ২. বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ- ০১ টি। ৩. টেকনিক্যাল কলেজ - ০৪ টি। ৪. বেসরকারী কলেজ- ০৬ টি। ৫. বেসরকারী মেডিকেল কলেজ- ০১ টি ৬. বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয় বালক- ৪৫ টি । ৭. বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয় বালিকা- ০৫ টি (ভারতেশ্বরী হোমস সহ )। ৮. নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয়- ০৩ টি। ৯. সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়- ১১৩ টি। ১০. সম্প্রতি সরকারী কর্তৃক ঘোষিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়- ৪৯ টি। ১১. আন-রেজি. প্রাথমিক বিদ্যালয়- ০৫ টি। ১২. কমিউনিটি বিদ্যালয়- ০৬ টি। ১৩. কিন্ডার গার্ডেন- ৬৯ টি। ১৪. এনজিও পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- ৪৫ টি। ১৫. এবতেদায়ী মাদ্রাসা - ০৩ টি। ১৬. দাখিল মাদ্রাসা- ১৩ টি। ১৭. আলিম মাদ্রাসা- ০২ টি। ১৮. হাফেজিয়া মাদ্রাসা - ৩৮ টি। ১৯. ফোরকানিয়া/মক্তব - ১৪৫ টি ২০. কওমি মাদ্রাসা - ১২ টি। ২১. এতিমখানা- ০৬ টি। |
০৫। |
স্বাস্থ্য সেবাঃ |
|
|
=২=
০৬। |
যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ |
|
|
০৭। |
কৃষি বিষয়কঃ |
|
|
০৮। |
অর্থনীতি ও পেশাঃ |
|
পেশাভিত্তিক জনসংখ্যার হার-
|
০৯। |
ঐতিহাসিক স্থান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বঃ |
|
বিশেষ কয়েকটি কারণে ঐতিহাসিক মির্জাপুর উপজেলা সারা বাংলাদেশে তথা উপমহাদেশে বিশেষভাবে পরিচিত। এগুলো হচ্ছে দানবীর রায়বাহাদুর রনদা প্রসাদ সাহা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ৭৫০ শয্যার ‘‘ কুমুদিনী হাসপাতাল ’’, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘‘ ভারতেশ্বরী হোমস্ ’’। এ ছাড়া রয়েছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ক্যাডেট কলেজ ‘‘ মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ ’’। দেশের প্রায় ৯০টি রুটে চলাচলকারী যানবাহনে দিন রাত ২৪ ঘন্টা সদা সচল মির্জাপুর উপজেলা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্বের কারণে ‘‘ মির্জাপুর উপজেলা ’’ সারাদেশে বহুল পরিচিত একটি নাম। এ উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নে অনেক শিল্প কারখানা রয়েছে। |
১০। |
শিল্প কারখানাঃ |
|
|
১১। |
অন্যান্য বিষয়াবলীঃ |
|
উপজেলায় ০১ টি পৌরসভা এবং ১৪ টি ইউনিয়ন আছে। ০৩ টি ইউনিয়ন প্রায় সম্পূর্ণ বন্যামুক্ত এবং ০১ টি আংশিক বন্যামুক্ত। বন্যামুক্ত এলাকার অনেকাংশে সরকারী ও বেসরকারী বনভূমি ও উচু লালমাটি। উপজেলার অবশিষ্ট অংশ নিচু এবং সামান্য বর্ষাতেই বন্যা কবলিত হয়। বর্ষাকালে অধিকাংশ এলাকায় চলাচলের বাহন নৌকা। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস