Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব

রণদা প্রসাদ সাহা(১৮৯৬-১৯৭১):

 রণদা প্রসাদ সাহা একজন সমাজকর্মী এবং শিক্ষার প্রবর্তক, আরপি সাহা নামে সুপরিচিত। তিনি ১৮৯৬ সালের ১৫ নভেম্বর সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কচৈর গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেবেন্দ্রনাথ পোদ্দার এবং কুমুদিনী দেবীর দ্বিতীয় সন্তান ছিলেন, যিনি তিন পুত্র ও এক কন্যার পিতামাতা। টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা দেবেন্দ্রনাথের কোনো নির্দিষ্ট পেশা ছিল না, যদিও তার পূর্বপুরুষরা ক্ষুদ্র ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। দেবেন্দ্রনাথ একজন দলিল-লেখক হিসেবে কাজ করতেন এবং তিনি প্রায়ই মহাজন হিসেবে তুষ্ট করতেন। মাত্র সাত বছর বয়সে রণদা তার মাকে হারান। থ্রি শ্রেণী পাশ করার পরই তার স্কুল শিক্ষা আসে। রামদা তার কোমল বয়সে বাড়ি ছেড়ে কলকাতায় পালিয়ে যায়। তাকে সেখানে পোস্টার, দিনমজুর, রিকশাচালক ও ফেরিওয়ালা হিসেবে কাজ করতে হয়েছে তার রুটি শেখার জন্য। পরে একপর্যায়ে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বা ‘স্বদেশী আন্দোলন’-এর সঙ্গে যুক্ত হন। এ জন্য তিনি কয়েকদিন কারাগারে ছিলেন।

 

প্রতিভা মুৎসুদ্দি (জন্মঃ ১৬ ডিসেম্বর১৯৩৫)

 প্রতিভা মুৎসুদ্দি বাংলাদেশের একজন শিক্ষাবিদ ও ভাষা সংগ্রামী। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন। প্রতিভা মুৎসুদ্দি নির্যাতিত নিপীড়িত পিছিয়ে পড়া নারীদের নানা সামাজিক রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামেও বিভিন্ন ভাবে যুক্ত। নির্মোহ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে তিনি সবসময়ই নাম-যশ-খ্যাতি এবং প্রচার প্রপাগান্ডাকে এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন।

 

সৈয়দ মোয়াজ্জিম হোসেন (১৯০১-১৯৯১) ঃ

সৈয়দ মোয়াজ্জিম হোসেন  একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ এবং ইসলামিক পণ্ডিত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। হোসেন ১৯০১ সালের ১ আগস্ট টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরের বানিয়ারা গ্রামে সৈয়দদের এক বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯২৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর একই বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় রিসার্চ স্কলার হিসেবে যোগ দেন। ১৯২৬ সালেতিনি ধ্রুপদী আরবি কবিতার উপর তার থিসিস লিখে ডি ফিল এবং ডি লিট ডিগ্রি অর্জনের জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। এরপর তিনি ১৯৪৯ সালে ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি ১৯৩০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে পাঠক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৪৮-১৯৫৩ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালেতিনি শিক্ষার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৯৭৮ সালে একুশে পদকেও ভূষিত হন। একুশে পদক প্রাপ্তদের তালিকা (১৯৭৬-৭৯)

তার প্রকাশিত একাধিক গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে মারিফাতুল ইলমুল হাদীসকালবিয়াতুল জাহেলিয়ানাখবাতুম মিন কিতাবিল একতিরিন এবং কাসিদাতু জাহেলিয়া।