Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

উপজেলার ঐতিহ্য

মহেড়া জমিদার বাড়ী-

     বৃটিশ শাসন নেই, নেই জমিদারের প্রতাপ, শুধু আছে তাদের সৃতি বিজড়িত কীর্তি। তেমনি একটি স্থাপত্য নিদর্শন হলো মির্জাপুর মহেড়া জমিদার বাড়ি। টাংগাইল সদর থেকে প্রায় ১৮ মাইল পূর্ব-দক্ষিণে এবং মির্জাপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত মহেড়া জমিদার বাড়ি। মহেড়া জমিদার বাড়ি কালের সাক্ষি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জমিদারদের শাসন ও শেষণের ইতিহাস নিয়ে।

১১শ’ ৭৪ শতাংশ জমির উপর অবস্থিত মহেড়া জমিদার বাড়ি। এই জমিদার বাড়িতে রয়েছে সুবিশল ৩টি প্রধান ভবন। সাথে রয়েছে কাচারী ঘর, নায়েব সাহেবের ঘর, গোমস্তাদের ঘর, প্রার্থনার জন্য মন্দির এবং জমিদারদের দাস-দাসিদের থাকার জন্য কয়েকটি ঘর। ভবনগুলোতে রয়েছে সুউচ্চ প্রাচির। বাড়িতে প্রবেশের জন্য রয়েছে ২টি প্রবেশ দ্বার। সামনে রয়েছে গোছল করার জন্য বিশাল দীঘি। প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞের মতে ভবনগুলোর নির্মাণ শৈলি রোমান, মোঘল, সিন্দু খেকুদের সাথে মিল রয়েছে। চুন শূরকী আর ইটের সমন্বয়ে ভবনগুলোর কারুকাজ যে কোন দর্শনার্থীর মন কেনে নেয়।

জমিদার বাড়িটি আকর্ষণীয় করার জন্য তৎকালীন জমিদাররা বাড়ির সামনে হরেক রকম ফুলের বাগান, সারি সারি নারিকেল ও সুপারী গাছ রোপন করেন। এখানকার বাসিন্দা বয়োবৃদ্ধ গয়েজ মিয়ার সাথে আলাপ করে জানা যায়, কালিচরণ সাহা ও আনন্দ সাহা নামে ২ ভাই কলকাতায় লবন ও ডালের ব্যবসা করে প্রচুর টাকা পয়সা রোজগার করে চলে আসেন মহেড়া গ্রামে। মহেরা গ্রামে এসেই তারা এই সুবিশাল বাড়িটি নির্মাণ করেন। বাড়ি নির্মাণ করার পর এরা মহেড়া গ্রামের গরীর মানুষের কাছে টাকা দাদন খাটাতে থাকে এবং গড়তে থাকে টাকার পাহাড়। কেউ তাদের দাদনের টাকা দিতে অপারগ হলে তাকে শাস্তি দেয়া হতো এবং তাদের জমি ও সম্পদ নিলাম করে নিয়ে নিতো তারা।

পরবর্তিতে বৃটিশ সরকার জমিদার প্রথা চালু করলে কালীচরণ সাহা ও আনন্দ সাহার পুত্ররা করটিয়ার ২৪ পরগনার জমিদারদের নিকট থেকে একটি অংশ বিপুল অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করে নেন। শুরু হয় জমিদারী শাসন ও শোষন। কালীচরণ সাহা ও আনন্দমোহন সাহার উত্তরাধিকারী রাজেন্দ্র রায় চৌধুরী পর্যায় ক্রমে জমিদারী পরিচালনা করেন। এসব শাসকগণ এলাকায় বিদ্যালয়, রাস্তা ঘাট, পানির ব্যবস্থা সহ অনেক জনকল্যানমূলক কাজ করেন।

বৃটিশ শাসনের শেষের দিকে জমিদার শাসন বাতিল হয় এবং পরবর্তিতে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভগের পর জমিদারদের অধিকাংশই ভারতে চলে যান। অবশিষ্ট যারা ছিলেন তারাও ১৯৭১ সালে স্বধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে হানাদার বাহিনীর নির্মম শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত এই অপরুপ নির্মাণ শৈলি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তৎকালীন রাষ্টপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মান্নান পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
বর্তমানে ভবনগুলো সংস্কার করা হয়েছে। ভবনগুলোর সৌন্দর্য রক্ষায় পুলিশ কর্তৃপক্ষ প্রতœতত্ত্ব বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেছে।

 

কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল -

   রণদাপ্রসাদ সাহা ১৯৩৮ সালে মির্জাপুরে ২০ শয্যাবিশিষ্ট 'কুমুদিনী ডিস্পেনসারি' প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪৪ সালে সেটিই কুমুদিনী হাসপাতাল নামে পূর্ণতা লাভ করে। ১৯৪২ সালে তাঁর প্রপিতামহী ভারতেশ্বরী দেবীর নামে 'ভারতেশ্বরী বিদ্যাপীঠ' স্থাপন করে ঐ অঞ্চলে নারীশিক্ষার সুযোগ করে দেন যা পরবর্তীতে ১৯৪৫ সালে ভারতেশ্বরী হোমস-এ রূপলাভ করে।

 

Mirzapur Cadet College 
 
College in Bangladesh
Mirzapur Cadet College is a cadet college of Bangladesh. Like other cadet colleges it follows the national curriculum prescribed by the National Curriculum and Textbook Board and gives emphasis to extracurricular and co-curricular activities. Wikipedia
 
Address: Dhaka 1000-1200
Motto: Knowledge is Power (জ্ঞানই শক্তি।)
Founded: November 29, 1963
Color: Maroon

মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ।

মতিবিবির মসজিদ ।

 

উল্লেখিত ঐতিহ্য ছাড়াও মির্জাপুর উপজেলাটি আরো নানা ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ভরপুর।