টাঙ্গাইল জেলাধীন মির্জাপুর উপজেলার অন্তর্গত জামুর্কি ইউনিয়ন।
যানবাহনযোগে মন্দিরটিতে যেতে হলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। সেখান থেকে পাকুল্যা বাজার হয়ে ঐতিহাসিক মতিবিবির মসজিদের কাছ দিয়ে জমিদার বাড়ির পেছন হয়ে হেঁটে পৌনে এক কিলোমিটার পশ্চিমে মন্দির প্রাঙ্গণে যাওয়া যায়। এছাড়া রিক্সাযোগেও মন্দিরে যাওয়া যায়।
টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবী রাম মোহন সাহা ও গৌর মোহন সাহা ১১৯৫ বঙ্গাব্দে শ্রী শ্রী রাধা কালাচাঁদ মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখানে গীতাপাঠ, মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান, শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী, দোলযাত্রা ও ঝুলনযাত্রাসহ সারা বছর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এর আগে একতলা পাকা মন্দিরটি দুই বার সংস্কার করা হয়। সম্প্রতি এলাকার সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা মন্দিরটিকে বাংলাদেশসহ দেশ-বিদেশে অন্যতম কারুকার্যসমৃদ্ধ ঐতিহাসিক মন্দির হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেন। চার বছর পূর্বে প্রায় ৬০ ফুট উঁচু মন্দিরটি নতুন রূপে নির্মাণ কাজ শুরু করেন তারা। এর আগে বাংলাদেশ ও ভারতসহ বেশকিছু দেশের মন্দির পরিদর্শন করে মন্দিরটির নক্সা তৈরি করা হয়। মন্দিরটি নির্মাণে ভারতের মুর্শিদাবাদ থেকে কারুশিল্পী আনা হয়। এছাড়া ঢাকা চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিল্পীরা ছাড়াও দেশের নামকরা কারুশিল্পীদের সহযোগিতা নেয়া হয়েছে এটি নির্মাণে। মন্দিরটির মধ্যে বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিকৃতি নিপুণভাবে তৈরি করা হয়েছে। পুণ্যার্থী ও দর্শণার্থীদের আকর্ষণ করার জন্য মন্দিরটিতে সোনালি রঙের প্রলেপ দেয়া হয়েছে। দূর থেকে মনে হয় এটি একটি স্বর্ণ খচিত মন্দির। অনেকে এই মন্দিরটিকে বাংলার ‘স্বর্ণ মন্দির’ হিসেবেও আখ্যা দিচ্ছেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS